কলাপাড়ায় অবৈধ ট্রলি চলাচল বন্ধ ও নিরাপদ সড়ককের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বালিয়াতলী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। রবিবার (২৫ সেপ্টেনম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বালিয়াতলীর মুসুল্লীয়াবাদ সড়কে এ মানববন্দন ও বিক্ষোপ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য বালিয়াতলী সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ট্রলির সংঘর্ষে শনিবার দুপুরে দূর্ঘটনায় জিহাদ (১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এবং নিহত জিহাদ এর মা দুটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে আজ রবিবার সকালে আহত মুক্তা বেগম (৪০) মারা গেছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত টিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে মাওয়া এলাকায় সে মারা যায়।দূর্ঘটনায় আহত নিহত শিশুর ভাই জুনায়েদ(০৭), বোন মীম (১৩), দাদী জাহানারা বেগম(৬০) ও অটো চালক নুর মোহাম্মদ(৪০) সহ অজ্ঞাত দুইজন।

তারা বর্তমানে ঢাকা ও বরিশালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে।গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে কলাপাড়ার চাপলী বাজার থেকে অটোরিক্সায় করে আট যাত্রী বালিয়াতলী আসার পথে অটো অটোরিক্সাটি মুসুল্লীয়াবাদ এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি খালি ট্রলি অটোটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় একশ ফুট পিছনে টেনে নিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশু জিহাদ নিহত হয়।

আহত হয় সাতজন। তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় মুক্তা বেগম। দূর্ঘটনায় তার দুটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে গোটা উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মানববন্দনে বক্ত্যাব্য রাখেন, ইমন,স্বপন ,নজরুল মাষ্টার,সোহেল প্রমূখ। বক্তারা বলেন ঘাতক ট্রলি চালকে পালাতে সহযোগীতাকারী রুমান ও ট্রলি চালককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান, এবং ছয় চাকার ট্রলি গাড়ী বন্ধের দাবী জানায়।